দুবাই ভিসা ২০২৩ আজকের খবর- পরিবর্তন এবং আবেদন প্রক্রিয়ার পর্যালোচনা

দুবাই, যুক্তআরব আমিরাত (UAE) একটি বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক গন্তব্য স্থান যেখানে বহু বিদেশি নাগরিক বসবাস করে থাকেন। এই শহরটি সর্বদাই নিজস্ব নিয়ম-কানুন এবং নীতি-নির্দেশিকার মাধ্যমে বিদেশি অবাসীদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হিসাবে পরিচিত। ২০২৩ সালে দুবাই ভিসা নীতিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। আমরা দুবাই ভিসা ২০২৩ আজকের খবর নিয়ে বিশদে আলোচনা করব। 


দুবাই ভিসা ২০২৩ পরিবর্তন


১. নতুন ভিসা ধরণ চালুকরণ: দুবাই সরকার ২০২৩ সালে কিছু নতুন ভিসা ধরণ চালু করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল 'ক্রিয়েটিভ ভিসা' এবং 'ক্যারিয়ার ভিসা'। 'ক্রিয়েটিভ ভিসা' প্রযুক্তি, শিল্প, সাংস্কৃতিক বিষয়ে নিপুণ ব্যক্তিদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আর 'ক্যারিয়ার ভিসা' উচ্চপদস্থ কর্মসংস্থানের জন্য সুযোগ্য ব্যক্তিদের আকর্ষণ করতে চায়। এই দুটি ভিসারই মেয়াদ ৫ বছর এবং ২ বার নবায়ন করা যাবে। 


২. ভিসা ফি বৃদ্ধি: গত বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে কিছু ভিসার ফি বৃদ্ধি পেয়েছে। লং-টার্ম রেসিডেন্সী ভিসা নবায়নের ফি ৩,০০০ দিরহাম (প্রায় ৮৫০ ডলার), ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নবায়ন ২,০০০ দিরহাম (প্রায় ৫৫০ ডলার) এবং ভিজিটর ভিসা নবায়ন ৬০০ দিরহাম (প্রায় ১৬৫ ডলার) হয়েছে। এর আগে এই ফিগুলি যথাক্রমে ২,৫০০ দিরহাম, ১,২০০ দিরহাম ও ৩০০ দিরহাম ছিল।


৩. ভিসা মেয়াদ বৃদ্ধি: ২০২৩ সালে দুবাই সরকার বিভিন্ন ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। লং-টার্ম রেসিডেন্সী ভিসা ২ বছর, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২ বছর এবং ভিজিটর ভিসা ৬ মাস পর্যন্ত বৈধ থাকবে। এর আগে এই মেয়াদগুলি যথাক্রমে ১ বছর, ১ বছর এবং ৩ মাস ছিল।


৪. ভিসা ক্যাটাগরির পরিবর্তন: দুবাই সরকার কিছু ভিসার নাম ও ক্যাটাগরি পরিবর্তন করেছে। 'গৃহপরিচর্যা ভিসা'-র নতুন নাম 'সার্ভিস ইনডাস্ট্রি ওয়ার্কার ভিসা' এবং 'ভিজিটর ভিসার অতিরিক্ত কোটা'-র নতুন নাম 'মাল্টিপল এন্ট্রি ভিজিটর ভিসা'।


৫. স্টার্টআপ ভিসা চালুকরণ: এছাড়াও, দুবাই সরকার 'স্টার্টআপ ভিসা' নামে একটি নতুন ভিসা ক্যাটাগরি চালু করেছে। এই ভিসাটি উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।


এইভাবে, ২০২৩ সালে দুবাই ভিসা নীতিতে প্রবর্তিত পরিবর্তনগুলি বিদেশি অবাসীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসাবে দুবাইকে উপস্থাপিত করতে সক্ষম হয়েছে। নতুন ভিসা ধরণ, ফি পরিবর্তন এবং মেয়াদ বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দুবাই সরকার বিদেশি জনগণের জন্য নানা সুবিধা বৃদ্ধি করে চলেছে।



দুবাই ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৩

দুবাই ভিসা ২০২৩ আজকের খবর অনুযায়ী আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত বর্ণনা নিম্নরূপ:


১. ভিসা টাইপ

দুবাইয়ে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন ভিসা টাইপ রয়েছে, যথা: ট্যুরিস্ট ভিসা, ব্যবসা ভিসা, কর্মী ভিসা, ট্রানজিট ভিসা, এবং বিশেষ ভিসা। প্রত্যেক ভিসার জন্য আলাদা প্রক্রিয়া ও নিয়ম রয়েছে।


২. আবেদনপত্র জমা দেওয়া

দুবাই ভিসার আবেদনপত্র অনলাইনে জমা দিতে হয়। আবেদনকারীকে তার পাসপোর্ট, ছবি, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দস্তাবেজ আপলোড করতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হয়।


৩. দস্তাবেজ যাচাইকরণ

আবেদনের পর দুবাই ভিসা কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর প্রদত্ত দস্তাবেজগুলি যাচাই করে। যদি কোনো অতিরিক্ত তথ্য বা ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় তবে তা চাওয়া হবে।


৪. রেকর্ড স্ক্রিনিং

দুবাই ভিসা আবেদনপত্র রেকর্ড স্ক্রিনিংয়ের প্রক্রিয়া পার করে। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে যাচাই করা হয়।


৫. ভিসা অনুমোদন

আবেদনপত্র এবং দস্তাবেজ যাচাইয়ের পর, যদি আবেদনটি অনুমোদিত হয় তবে ভিসা ইস্যু করা হবে। অনুমোদিত ভিসার বৈধতা সময়সীমাও নির্ধারণ করা হবে।


৬. ভিসা গ্রহণ

অনুমোদিত ভিসা প্রাপ্তির পর আবেদনকারীকে তা গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য তাকে প্রদত্ত নির্দেশগুলি মেনে চলতে হবে।


৭. পাসপোর্ট ও ভিসা প্রেরণ

ভিসা গ্রহণের পর আবেদনকারীর পাসপোর্টকে দুবাইয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে প্রেরণ করতে হবে। কিছু সময়ের মধ্যেই পাসপোর্ট ভিসাসহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।


৮. ভিসা ফি

উপরোক্ত প্রক্রিয়াগুলি সম্পন্ন হওয়ার পর, আবেদনকারীকে ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে। ফি পরিশোধের পর ভিসা ইস্যু করা হবে।


দুবাইয়ে ভ্রমণের জন্য ভিসা পেতে এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করতে হয়। প্রক্রিয়াটি সহজ নয় তবে সঠিক নথিপত্র, সময়মত আবেদন, এবং ভিসা ফি পরিশোধ করলে অনুমোদন পাওয়া সম্ভব। দুবাই সফরের জন্য ভিসা আবেদন করার আগে সম্পূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া উচিত।



Vues 21
Partager
Comment
Emoji
😀 😁 😂 😄 😆 😉 😊 😋 😎 😍 😘 🙂 😐 😏 😣 😯 😪 😫 😌 😜 😒 😔 😖 😤 😭 😱 😳 😵 😠 🤔 🤐 😴 😔 🤑 🤗 👻 💩 🙈 🙉 🙊 💪 👈 👉 👆 👇 🖐 👌 👏 🙏 🤝 👂 👃 👀 👅 👄 💋 💘 💖 💗 💔 💤 💢
Vous aimerez aussi